কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
গত ১০/১৫ দিনে টিকার অনেক কাজ হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফাইজারের ৬০ লাখ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পেয়ে যাবো। এছাড়া চীনে নতুন করে আরও সাড়ে ৬ কোটি ডোজের অর্ডার দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে সাড়ে ৭ কোটি টিকা আসেব চীন থেকে। ডব্লিউএইচওর মাধ্যমে আসবে আরও সাড়ে ১০ কোটি টিকা। এই ভ্যাকসিনগুলো চলে আসলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৭/৮ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারবো, বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের পার্থক্য ১৫ দিন করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা আলোচনা করেছি, সার্বিকভাবে আলোচনা হয়েছে। এখন টেকনিকাল কমিটিতে আলোচনা করে টিকা থাকা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হবে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) কেবিনেট মিটিং শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ কমে ১৫% এ নেমেছে, মৃত্যুও কমেছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন কার্যক্রমও চলছে। মর্ডানা ও সিনোভ্যাকের সেকেন্ড ডোজ হাতে আছে বলেও জানান মন্ত্রী।
কেবিনেট মিটিং শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দিতে বলেছেন, আমরা দিচ্ছি। এছাড়াও পোশাক কারখানাও চায় সকল শ্রমিকের টিকা দিতে।
তবে এই মুহূর্তে গণটিকা কার্যক্রমে আর যাচ্ছে না সরকার। কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, এখন সেই পরিমাণ টিকা নেই। তবে যখনই টিকা আসবে তখনই তা দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমরা আর একে গণটিকা কার্যক্রম বলবো না। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা নেয়া যাবে না। যারা এনআইডি নিয়ে আসবে তারা যেন রেজিস্ট্রেশন করেই আসে, বলেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, সাড়ে তিনকোটি মানুষ নিবন্ধন করলেও এর মধ্যে ২ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। এরপর থেকে টিকা হাতে রেখেই নিবন্ধন হবে। টিকা হাতে নেই, কিন্তু বড় বড় কর্মসূচি নেবো, ভবিষ্যতে এমনটা হবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
এছাড়া কেবিনেটের সভায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ভাতা নিয়ে আলোচনা ছাড়াও ১৮ সেপ্টেম্বরকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-